বগুড়ার শেরপুরে ইউপি সদস্য কর্তৃক কম্পিউটার অপারেটরকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১ টায় শেরপুর উপজেলা পরিষদ চত্তরে বাংলাদেশ ইউপি সচিব ও হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সমিতির ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।
গত ১৩ অক্টোবর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য মো: মমতাজ আলী কর্তৃক পরিষদের সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো: শাহদত হোসেনকে মারধরের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতির (বাপসা) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, শেরপুর উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, সোহেল রানা, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর এসোসিয়েশন শেরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটরগণ বিভিন্নভাবে জনগণকে সেবা প্রদান করছেন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের এই সেবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটরগণ।
বিষয়টি সার্বিকভাবে কেন্দ্রীয় নিবন্ধকের সার্ভারের উপর নির্ভর করে। সার্ভার বন্ধ থাকলে কম্পিউটার অপারেটরদের কিছু করার থাকে না। জনগণ স্বাভাবিকভাবে সেবা থেকে বঞ্চিত হন।
কিন্তু গত ১৩ অক্টোবর সার্ভার বন্ধ থাকার কারণে শেরপুরের মির্জাপুরের ইউপি সদস্য মমতাজ আলী কম্পিউটার অপারেটর শাহাদাত হোসেনকে শারিরিকভাবে লঞ্ছিত করেছেন।
বক্তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইউপি সদস্য মমতাজ আলীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। পাশাপাশি ওই ইউপি সদস্যের উপযুক্ত শাস্তি না হলে উপজেলার সকল ইউনিয়নে কর্ম বিরতি পালন করা হবে বলে হুশিয়ারী দেন তারা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর বগুড়া জেলা বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর এসাসিয়েশন কমিটির (বাপাকা) পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও ভুক্তভোগী শাহদত হোসেন জেলা প্রশাসক ও শেরপুর থানায় পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মমতাজ আলী মারধরের ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমাদেরকে জনগন ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন। জন্মনিবন্ধনে সার্ভারের সমস্যা আমরাও জানি। সকাল থেকে বিভিন্ন লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলতে গেলে সে আমাকে মুখামুখি শুরু করে। আমি শুধু কথা বলেছি তার গায়ে হাত তুলিনি”।