খুলনার ডুমুরিয়ায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে (২৮) ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান। ভিকটিম কলেজছাত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার শাহপুরে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন কলেজছাত্রী। তিনি শাহপুর মধুগ্রাম কলেজে পড়েন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। শনিবার রাত ৮টার সময় নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। মধুগ্রাম কলেজ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কার্যালয় পাশাপাশি হওয়ায় কলেজছাত্রীর সঙ্গে চেয়ারম্যানের পরিচয় হয়। পরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সাথে মেলামেশা করে।
আরও জানা গেছে, মধুগ্রাম কলেজে পড়ার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিনি ওই কলেজছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। কিন্তু পরে বিয়ের কথা বললে টালবাহানা শুরু করেন চেয়ারম্যান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে একটি মহল।
খুলনার ডুমুরিয়ায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের বিষয়ে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকান্ত সাহা জানান, এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ আসলে বা মামলা দায়ের হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।