নওগাঁয় ডাকাত দলের ১৪ জন সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৫) জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল।
নওগাঁয় ডাকাত দলের সদস্যদের মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) জেলার আত্রাই উপজেলা থেকে দিবাগত রাতে আটক করা হয়। আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সরদার রামকৃষ্ণসহ তার দলের বাহীনির সক্রিয় ১৪ জন সদস্যকে ডাকাতি সংগঠনকালে হাতেনাতে আটক করে র্যাব। বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে জেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য দেন।
অভিযানে আটককৃতরা হলো বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক হিন্দুপাড়া গ্রামের শ্রী বিষ্ণু দাসের ছেলে শ্রী রাম কৃষ্ণ দাস (৩৫), একই উপজেলার মৃত মহিন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী নয়ন চন্দ্র দাস (৩৫), মহব্বতপুর গ্রামের মোঃ মোজাহার সরদারের ছেলে মুকুল মিয়া (৩৫), একই উপজেলার মৃত ওমরচান সরদারের ছেলে মোজাহার সরদার (৩৬), জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শ্রী সুবিন্দ চন্দ্রের ছেলে শ্রী রিমন চন্দ্র (২১), একই উপজেলার শ্রী বিরেন চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী বিফল চন্দ্র দাস (২৪), শ্রী ঝড়চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী কাজল চন্দ্র দাস (২১) ও শ্রী প্রনব চন্দ্র দাস (২২),
জিয়াপুর গ্রামের শ্রী প্রফুল্ল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী উজ্জল চন্দ্র দাস (২৮), মৃত নির্মল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী নিরেন চন্দ্র দাস (৩৬), মৃত হরেন হাওলাদারের ছেলে শ্রী মিলন চন্দ্র হাওলাদার (৩৪), শ্রী বিপ্লব চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী শুভ চন্দ্র দাস (১৯), পাঁচবিবি উপজেলার কুসুমবাগের সায়েদ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (২৭), ও ধুরইল গ্রামের মৃত তোফেজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মোঃ আমজাদ হোসেন (৪৮)।
র্যাব জানায়,
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, আটককৃতরা সংঘবদ্ধ চিহ্নিত ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাত বিরাতে পুকুর থেকে মাছ চুরি করে বিভিন্ন বাজারে পাইকারী বিক্রি করে আসছিল। এই সংবাদ পাওয়ার পর থেকে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দলে এই সক্রিয় ডাকাত দলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলো।
মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা জনৈক মোঃ আবুল কালাম আজাদের পুকুরে মাছ চুরি করে পিকআপে তোলার সময় র্যাবের আভিযানিক দল পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তাদের হাতেনাতে আটক করে। এসময় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশিকালে তাদের নিকট থেকে ৩৬৫ কেজি মাছ, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি মাহিন্দ্রা পিকআপ ২টি মাছ ধরার জাল ১টি চাকু ও ১টি ছোট হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তাদের দলের সরদার শ্রী রামকৃষ্ণ দাস এবং তার অধীনে ১৫-২০ জন রয়েছে। তারা নঁওগা, বগুড়া এবং জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছিলো এবং চুরিকৃত মাছ বগুড়ার মহাস্থানগড় বাজারে, দিনাজপুরের বিরামপুর ও হিলি বাজারে এবং জয়পুরহাটের আক্কেলপুর বাজারে বিক্রি করত।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলার আত্রাই থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।