নোয়াখালীতে বিকাশ ও নগদ একাউন্টযুক্ত অ্যাকটিভ সিম, নগদ অর্থ, মোবাইল ফোনের সরঞ্জামসহ দুইজনকে আটক থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৬ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টাকা, মোবাইল ফোন ৯টি, মোবাইল ফোনের বক্স ৭টি, এনআইডি কার্ড ৫টি, খালি সিমের প্যাকেট ৪৪টি, ২৫টি অ্যাকটিভ সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তাদের একজনকে রাজধানীর নিউমার্কেট হাতির পোল এলাকা থেকে এবং অন্যজনকে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার মৃত গাদু মো: মুন্সির ছেলে মো: আলী হাসান লিটন (৩৮) ও নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার মৃত আবদুল খালেকের ছেলে মো: শামীম উদ্দিন (৩০)।
জানা গেছে, প্রতরক চক্র ভুক্তভোগী মো: শাহাদাত হোসেনের কাছ থেকে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণামূলকভাবে ওটিপি কোড সংগ্রহ করে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে বে-আইনি প্রবেশ করে। এরপর প্রতারক চক্র পরস্পরের যোগসাজসে চৌমুহনী শাখা নোয়াখালী থেকে বিভিন্ন ধাপে (বিকাশ/নগদ/রকেট/উপায় একাউন্টের মাধ্যমে) ৪ লাখ ১৯ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাৎ করে।
এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরেকটি প্রতারক চক্র একই উপায়ে মধুসুদন সাহার কাছ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, ডা. জেরিম আঞ্জুম ইমার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা, মো: শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা, তাসফিনুল হকের কাছ থেকে ৬১ হাজার টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে যায়।
নোয়াখালীতে বিকাশ প্রতারক আটক এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ‘প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে শহরের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তাদের আটক করতে সক্ষম হই। এ ব্যাপারে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আইনাগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।