পটুয়াখালীতে যুবলীগ নেতাসহ ২ জন খুন হয়েছে। পটুয়াখালীর বাউফলে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলা ও সংঘর্ষে মো: সেলিম মুন্সি (৪৮) ও মো: আলাউদ্দিন মুন্সি (৫৩) নামে ২ ব্যক্তি খুন হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে বাউফল উপজেলার আতশখালী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই মোছা: মর্জিনা বেগম (২৮) ও মোছা: ফুলবানু আক্তার (৩০) নামে ২ নারীকে আটক করেছে বাউফল থানা পুলিশ।
নিহত মো: সেলিম মুন্সি আদাবাড়িয়া ইউনিয়নে যুবলীগের সহসভাপতি। তিনি আতশখালী গ্রামের মো: খোরশেদ মুন্সির ছেলে। অপর নিহত মো: আলাউদ্দিন মুন্সি আতশখালী গ্রামের মো: আমির হোসেন মুন্সির ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সেলিম ও আলাউদ্দিনের পরিবারের মধ্যে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার সময় সেলিম মুন্সি আতশখালী গ্রামের মোল্লাবাড়িতে নৌকা প্রার্থীর উঠানে বৈঠক শেষে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় আলাউদ্দিন এবং তার ২ ছেলে সেলিম মুন্সির ওপর হামলা চালায়।
সেলিম প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে ওই গ্রামের মো: সামসু মুন্সির বাসভবনে প্রবেশ করেন। হামলাকারীরাও সেলিমের পিছু নিয়ে ওই ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই সেলিম মুন্সি মারা যান। এ খবর পেয়ে সেলিমের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে ২ পক্ষের পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে ঘটনাস্থলেই আলাউদ্দিনও মারা যান।
পটুয়াখালীতে যুবলীগ নেতাসহ ২ জন খুনের বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২ পক্ষ থেকে দু’টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে ২ আসামিকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে মরদেহ ২টি উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।