বগুড়ার শেরপুরে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে হয়রানী ও চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী। অভিযোগকারি নাজনিন পারভীন পলি শেরপুর পৌর শহরের কলেজ রোড এলকার বাসিন্দা ও বর্তমান পৌর মেয়র জানে আলম খোকার ছোট বোন।
বুধবার বেলা ১২ টায় শেরপুর উপেজলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে পলি বলেন, গত রবিবার তার দুই শতক জমি বিক্রির উদ্দেশ্যে ক্রেতাকে সাথে নিয়ে শেরপুরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সেখানে অফিসের কর্মকর্তা সকল কাগজপত্রের সঠিকতা নিশ্চিত করে দলিল লিখে নিয়ে আসতে বলেন। এরপর তিনি শেরপুর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিনের কাছে দলিলটি লিখে নেন।
কিন্তু জামাল মোটা অংকের টাকা দাবি করে দলিলটি আটকে রাখেন। এরপর সমিতির সভাপতি ফেরদৌস ও অফিসের সহায়ক জাহিদুল ইসলামও তার কাছে টাকা দাবি করেন। তারা জমির ক্রেতার কাছ থেকেও টাকা দাবি করলে তিনি জমি কিনতে অস্বীকার করেন। এতে পলি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
পলি জানান, আমি জমিটি সাড়ে ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। তারা আমার কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। এভাবে তারা সমিতির নামে প্রতিদিন অসহায় মানুষদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
দলিল লেখক সমিতি ও সাব-রেজিস্ট্রারের বক্তব্য :
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বগুড়ার শেরপুরে দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, জমিটি নিয়ে কোর্টে একটি মামলা চলমান রয়েছে। এজন্য দলিল রেজিস্ট্রি করা যায় নি। আমি তার কাছে কোন টাকা দাবি করি নাই। তবে এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি এস. এম. ফেরদৌসের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করে অফিস সহায়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, জমিটির দলিল রেজিস্ট্রি করতে আইনগত কোন বাধা নেই। কিন্তু তারা আমাদের কাছে দলিল নিয়ে আসেনি। তাই রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে শেরপুরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সমিতির বিষয়ে কিছু জানি না। তবে আমার কাছে কেউ দলিল নিয়ে আসলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক থাকলে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হবে।