সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপহরণের পর ৬ লাখ টাকা মুক্তিপন না দেওয়ায় মারুফ হাসান (১২) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ঝুড়ঝুড়ি বাজারের তালুকদার মার্কেটের ১টি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নজরুল ইসলাম। এর আগে, গত শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) শিশুটিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে ছিল দুর্বৃত্তরা।
নিহত মারুফ হাসান তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুড়ঝুড়ি গ্রামের মো: মোশারফ হোসেনের ছেলে এবং সে পার্শ্ববর্তী সলঙ্গা থানার ১টি মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। শিশুর মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসে শিশু মারুফ হোসেন। গত ৫ এপ্রিল স্থানীয় বাজারে গেলে তাকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ১টি চক্র। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে তাড়াশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শিশুটির বাবা মো: মোশারফ হোসেন। এরপর থেকেই র্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মারুফকে উদ্ধারের জন্য অভিযান চালায়।
এরই ধারাবাহিকতায় অপহরণের ঘটনার ৫ দিন পর এতে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করে র্যাব-১২। আটককৃতরা হলো, মো: আবুল হাশেম আলী, মো: আলামিন, রফিকুল ইসলাম, ওমর ফারুক ও মো: কায়সার হোসেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা শিশু মারুফকে অপহরণ করে তার বাবার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল। চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেয়ে শিশু মারুফকে হত্যা করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপহরণের পর মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যা বিষয়ে র্যাব-১২ এর অধিনায়ক মো: মারুফ হোসেন জানান, আটককৃত ব্যক্তিদের এ ঘটনায় কারাগারে পাঠানো হবে। এতে জড়িত অন্যান্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।