রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আগে থেকেই কারাগারে থাকা সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আরও চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (০৬ মে) সকালে ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ এই আদেশ দেন। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ শুনানি হয়।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, কোতোয়ালী থানায় পুলিশের কাজে বাধা, আদালত প্রাঙ্গণে সহিংসতা, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা চারটি মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছিল। শুনানিতে তিনি ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত থাকলেও তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আদালতে চিন্ময় দাসের আইনজীবী শুভাশীষ শর্মার উপস্থিতি না থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
চিন্ময়কে গ্রেফতার দেখানোর শুনানিকে ঘিরে আজ সকাল থেকেই চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম কারাগারের সামনেও বাড়ানো হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি।
এর আগে ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত চত্বর থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সেদিন বিকেলেই আদালত এলাকা সংলগ্ন রঙ্গম কমিউনিটি হলের পাশে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত হন। এ ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। পাশাপাশি সহিংসতা ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে আরও পাঁচটি মামলা দায়ের হয়।
সব মিলিয়ে ছয় মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন, যাদের মধ্যে ২১ জনের বিরুদ্ধে হত্যার সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।