কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার খবর পেয়েই সৌদি সফর সংক্ষিপ্ত করে বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখামাত্রই তিনি বসেন এক জরুরি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনন্তনাগ জেলার পর্যটনস্থল বৈসরন উপত্যকায় বন্দুকধারীদের হঠাৎ হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। নিহতদের মধ্যে দুইজন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন বলে সূত্রের দাবি। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটিকেই কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর সৌদি সফরসূচি অনুযায়ী তিনি বুধবার রাতেই দিল্লি ফেরার কথা ছিল। তবে হামলার ভয়াবহতা বুঝেই মঙ্গলবার রাতেই নয়াদিল্লির উদ্দেশে উড়াল দেন তিনি। সৌদি রাজা সালমানের আমন্ত্রণে আয়োজিত নৈশভোজেও যোগ দেননি তিনি।
বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এ এক পোস্টে জানান, “কাশ্মীরের পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তার সফর সংক্ষিপ্ত করে দ্রুত দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।”
সৌদি থেকেই এক্স-এ নরেন্দ্র মোদি লেখেন,“পেহেলগামের কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। নিহতদের পরিবারের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। সরকার সকল ধরণের সহায়তা নিশ্চিত করবে।”
তিনি সন্ত্রাসীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,“এই বর্বরোচিত হামলার পিছনে যারা রয়েছে, তাদের কোনওভাবেই ছাড়া দেওয়া হবে না। আমাদের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই আরও শক্তিশালী ও কঠোর হবে।”
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতেই কাশ্মীর পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শ্রীনগরে পৌঁছেই তিনি সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী এবং পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।