নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যে। এটি নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবাহার করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রথম ঘটনা।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৩টি অঙ্গরাজ্যে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবাহার করে আসামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পদ্ধতিটি অনুমোদন পেয়েছে। এ ৩টি অঙ্গরাজ্য হলো, ওকলাহোমা, আলাবামা ও মিসিসিপি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) আলাবামা অঙ্গরাজ্যের হোলম্যান কারাগারে সর্ব প্রথম নাইট্রোজেন হাইপোক্সিয়া গ্যাস প্রয়োগ করে ১ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম কেনেথ ইউজিন স্মিথ (৫৮)। নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে প্রায় ২২ মিনিট সময় লেগেছিল।
গ্যাস প্রয়োগের পরও কয়েক মিনিট পর্যন্ত তার জ্ঞান ছিল। ২ থেকে ৪ মিনিট পর্যন্ত তিনি স্ট্রেচারের ওপর ছটফট করছিলেন। তবে কয়েক মিনিট পরে তার নিঃশ্বাস ভারি হয় এবং শ্বাসের গতি ধীর হয়ে আসায় তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এমন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এ পদ্ধতিকে বলা হয় নাইট্রোজেন হাইপোক্সিয়া।
নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এ পদ্ধতিতে আসামীকে ১টি মাস্ক পরিয়ে দেয়া হয়। এরপর তার শ্বাস-প্রশ্বাসে সাধারণ বিশুদ্ধ বায়ুর পরিবর্তে নাইট্রোজেন হাইপোক্সিয়া গ্যাস দেয়া হয়। এর ফলে ধীরে ধীরে আসামীর মস্তিষ্ক ও শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে থাকে এবং কয়েক মিনিট পরে তার মৃত্যু হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে এভাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার নজির নেই।