দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা আবারও চরমে। ভারত যেকোনো সময় পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালাতে পারে, এমন আশঙ্কায় বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এরই মধ্যে প্রস্তুতি জোরদার করেছে বলে জানায় দেশটির এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, “আমরা উচ্চমাত্রার সতর্কতায় রয়েছি। তবে ভারতের মতো করে প্রকাশ্যে এসে কোনও উত্তেজনা বাড়াতে চাই না। আমরা দায়িত্বশীলভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।”
তিনি বলেন, “ভারত যদি মনে করে যে প্রতিশোধমূলক হামলা করেও তারা পার পেয়ে যাবে, তবে সেটা হবে মারাত্মক ভুল। দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর, এখানে একচেটিয়া আগ্রাসনের ঝুঁকি ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।”
ভারতীয় পক্ষ থেকে আসা লাগাতার হুমকির প্রেক্ষিতে পাকিস্তান এমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বলে জানা গেছে। কাশ্মীর হামলার পর থেকেই ভারতের রাজনৈতিক ও সামরিক মহলে কড়া ভাষায় বক্তব্য আসছে। যদিও পাকিস্তান এসব অভিযোগ নাকচ করেছে এবং পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেছে।
ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রশ্ন তোলেন, “কাশ্মীর সীমান্ত থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার ভেতরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে পাঁচ লাখেরও বেশি ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন। তাদের নজরদারির মাঝেই এমন ঘটনা কীভাবে সম্ভব?”
এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে অভিযোগ করেন, ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) তিনি বলেন, তার কাছে এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি ভারত আমাদের শহরগুলোতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে, তাহলে তার চরম মূল্য দিতে হবে। পাকিস্তানও সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত।”