ভোটের দুইদিন পরই মোট ১২ মামলায় জামিন পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধামন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ইসলামাবাদ এটিসির প্রধান বিচারক মো: মালিক ইজাজ আসিফ এক শুনানি শেষে এই রায় দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় ১৬তম জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকি নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইমরান খানের দল পিটিআই তার নিজস্ব ‘ব্যাট’ প্রতীকেও নির্বাচন করতে পারেনি। এরপর পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে বিভিন্ন প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটের মাঠে জয় পেয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ২৫০ আসনের প্রাথমিক ফলাফলে ইমরান খানের দল পিটিআই–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই সর্বোচ্চ বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন। আসনসংখ্যায় ২য় স্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল (পিএমএলএন)। ৩য় স্থানে রয়েছে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির (পিপিপি)।
এদিকে, ভোট গ্রহণে প্রায় ৪০ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়া পরও নির্বাচনের পূর্ণ ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৫টি আসনের ফল ঘোষণা এখনও বাকি ছিল। ভোটের দুইদিন পরই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাশাপাশি তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশীকেও মোট ১৩ মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে।