পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাবন্দি ইমরান খান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবারও পাকিস্তানে ‘মিথ্যা-ফ্ল্যাগ অভিযান’ চালাতে পারেন। এজন্য পাকিস্তানকে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ও বুধবার একাধিক বিবৃতিতে আদিয়ালা কারাগার থেকে নিজের পরিবারকে দেওয়া বার্তার ভিত্তিতে ইমরান খান এসব মন্তব্য করেন। সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, “মোদি পাকিস্তানের প্রতি গভীর ঘৃণা পোষণ করেন। আমাদের জাতির সাহসিকতা তাকে আরও ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। সেজন্যই তিনি নতুন করে সংঘর্ষে জড়াতে পারেন।”
২০১৯ সালের মতো এবারও আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে ইমরান বলেন, “মোদি পাকিস্তানকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টায় রয়েছেন। এজন্য আমাদের জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, এবং যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
পাকিস্তানি জনগণের সাহস ও সেনাবাহিনীর দক্ষতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এই জাতি গর্বিত, সম্মানিত এবং কখনো মাথা নত করে না। আমরা যেভাবে আকাশ ও স্থল পথে মোদিকে রুখে দিয়েছি, তেমনি অনলাইনে আমাদের তরুণ প্রজন্ম ভারতের ভুয়া প্রচারণাকে উল্টো উন্মোচন করেছে।”
ইমরান খান অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ভারতের বাহিনী পাকিস্তানের নারী, শিশু ও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। তিনি বলেন, “মোদি কাপুরুষের মতো কাজ করেছেন। কিন্তু আমাদের বাহিনী নির্ভুলভাবে কেবলমাত্র সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “যুদ্ধ শুধু অস্ত্রে নয়, মানসিক দৃঢ়তাতেও জয়লাভ হয়। এমন নেতৃত্ব প্রয়োজন যারা সাহসের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারে।” এ সময় তিনি বিচার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার ওপরও জোর দেন।
ইমরান বলেন, “সেনাবাহিনী তখনই শক্তিশালী হয়, যখন তাদের পাশে থাকে জনগণের সমর্থন। এই সমর্থনই মনোবলে পরিণত হয়ে প্রতিপক্ষকে রুখে দেয়।”