১৪ মাস পর চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত সরকার। পাশাপাশি চালের রপ্তানি শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে দেশটির রপ্তানিকারকরা বাসমতি চাল ব্যতীত অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানি করতে পারবেন। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। খবার এনডিটিভি।
ভারতে চালের উৎপাদন হয় দেশটির পূর্ব, দক্ষিণ ও উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। গত বছর এসব রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চালের উৎপাদন অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে ২০২৩ সালের জুলাই মাসের ২০ তারিখে বিশ্ববাজারে চাল রপ্তানিতে নিষেধজ্ঞা দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর প্রায় ১৪ মাস পর চালের রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, চাল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে ৬টি দেশ, বাংলাদেশ, ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। তবে সারাবিশ্বের চাল রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে ভারত। প্রতিদিন বিশ্ববাজারে যে পরিমাণ চাল ক্রয়-বিক্রয় হয়, তার ৪০ শতাংশই আসে ভারত থেকে।
এ ব্যাপারে ভারতে অন্যতম চাল রপ্তানি কোম্পানি রাইস ভিলার শীর্ষ নির্বাহী সুরজ আগার ওয়াল এনডিটিভিকে বলেন, ভারতের কেন্দ্রী সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশটির অভ্যন্তরীণ কৃষিক্ষেত্র এবং আন্তর্জাতিক চালের বাজারে গেম চেঞ্জারের ভূমিকা রাখবে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারেও চালের দাম কমে আসবে এবং কৃষকরাও বেশ লাভবান হবেন বলেও জানান তিনি।।