সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে ঘিবলি আর্ট! জাপানের জনপ্রিয় অ্যানিমেশন স্টুডিও স্টুডিও ঘিবলি-এর স্বাক্ষরধর্মী স্টাইল এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নতুন মাত্রা পেয়েছে।
ঘিবলি আর্ট বলতে বোঝানো হয় স্টুডিও ঘিবলি-এর স্বপ্নময়, হাতে আঁকা স্টাইলের অ্যানিমেশন চিত্র। এটি প্রতিষ্ঠা করেন বিশ্ববিখ্যাত অ্যানিমেটর হায়াও মিয়াজাকি ও ইসাও তাকাহাতা। তাদের হাত ধরেই আসে আমার প্রতিবেশী টোটোরো, উৎসাহিত, হাউলের চলমান দুর্গ-এর মতো মাস্টারপিস।
বর্তমানে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে যেকোনো ছবি ঘিবলি স্টাইলে রূপান্তর করা সম্ভব। এই নতুন প্রযুক্তি নিয়ে মেতে উঠেছেন চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীরা।
কীভাবে তৈরি করবেন ঘিবলি স্টাইল ছবি?
১. প্রথমে চ্যাট জিপিটি-4 এর ইমেজ জেনারেশন টুল খুলুন।
২. চ্যাটজিপিটি প্রিমিয়াম ভার্সন ব্যবহারকারীদের জন্য এটি উন্মুক্ত।
৩. ঘিবলি স্টাইলে রূপান্তর করতে নিজের পছন্দের ছবি আপলোড করুন।
৪. প্রম্পটে লিখুন ‘ঘিবলি অ্যানিমেশন স্টাইল’।
৫. কিছুক্ষণের মধ্যে এআই-উত্পন্ন ঘিবলি ছবি পেয়ে যাবেন!
৬. তৈরি ছবি সংরক্ষণ করুন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।
কেন জনপ্রিয় ঘিবলি স্টাইল?
হাতে আঁকা ও জাদুকরী শিল্পকর্মের অনুভূতি দেয়। নস্টালজিক, শৈশবের স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। ডিজিটাল আর্টিস্টদের সৃজনশীলতা বাড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ট্রেন্ডিং।
সবার মনে এক প্রশ্ন – কীভাবে এটি এত দ্রুত জনপ্রিয় হলো?
স্টুডিও ঘিবলির সিনেমাগুলো সবসময় সৌন্দর্য, আবেগ ও কল্পনার এক অপূর্ব মিশেল দেখিয়ে এসেছে। আর এআই-ভিত্তিক নতুন ইমেজ জেনারেশন টেকনোলজি সেই ঘিবলি স্টাইলকে বাস্তব জীবনের ছবির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলে নস্টালজিয়া ও আধুনিক প্রযুক্তির মিশ্রণে তৈরি হয়েছে এক অনন্য শিল্পধারা।
আপনিও কি ঘিবলি স্টাইল ছবি বানিয়ে ফেলবেন?