বগুড়ার শেরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে একটি বসতবাড়ি। সোমবার (০৩ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়নের ঘাসুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
খবর পেয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে বাড়িটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত আবু বক্কর সিদ্দিক পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। এ ঘটনাকে তিনি পরিকল্পিত নাশকতা বলে দাবি করেছেন।
প্রতিবেশী ওসমান গনি জানান, “রাত একটার দিকে জানালা দিয়ে আগুন দেখতে পাই। প্রথমে বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণের একটি ঘরে আগুন জ্বলতে দেখি। দ্রæত প্রতিবেশীদের ডাক দেই, কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই আগুন পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।”
আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে কাওসার হাবিব জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না, তাই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, “আমার বাবা অসুস্থ থাকায় চার পাঁচদিন ধরে আমরা সবাই বগুড়ায় ছিলাম। রাতে প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে ছুটে আসি, কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গেছে। ৬টি ঘর, আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সোনার গহনাসহ পুড়ে গেছে। প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “আমার বাবা আওয়ামী লীগের স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য। আমরা আশঙ্কা করছি, হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আমাদের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আগুনের সূত্রপাত বাবার শোবার ঘর থেকে। বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ব্যবহার না করলে এত দ্রæত আগুন ছড়ানোর কথা নয়।”
শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার নুরুল ইসলাম বলেন, “৯৯৯-এ কল পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে বাড়িটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”