অনির্দিষ্টকালের জন্য শতাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের জেরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া, সাভার ও ধামরাইয়ে প্রায় ১৩০টি গার্মেন্টস কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শুধু শিল্পাঞ্চল আশুলিয়াতেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শতাধিক কারখানা। শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে সংবাদ মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া শিল্পায়ন পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো: সারোয়ার আলম।
তিনি বলেন, যেসব কারখানা গার্মেন্টসকর্মীরা কাজ করতে আগ্রহী সেগুলোতে কাজ চলছে৷ তাদের কাজ চলমান থাকবে। তবে প্রায় ১০০ কারখানা বন্ধ রয়েছে। এসব কারখানার শ্রমিকরা চলে যায় এবং বিভিন্ন উচ্ছৃঙ্খলতা প্রকাশ করে।
এমন ১৩০টি কারখানা তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য শ্রম আইনে ১৩ এর ১ ধারায় বন্ধ রয়েছে। আশুলিয়া,সাভার ও ধামরাই মিলে এখানে ১৭৯২ টি কারখানার মধ্যে ১৩০ টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে কিছু কারখানা সাধারণ ছুটি ছিলো এগুলো (১২ নভেম্বর) খুলে দেওয়া হবে। তবে আশুলিয়ার ও সাভার সামগ্রিক পরিবেশ-পরিস্থিতি ভালো বলে জানান পুলিশ সুপার মো: সারোয়ার আলম ।
তিনি বলেন, খোলা কারখানাগুলোর গার্মেন্টসকর্মীরা কাজ করছেন। আর কাজের পরিবেশ ধরে রাখার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় তৎপর রয়েছে।
পোশাক শ্রমিক ঐক্য লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: সারোয়ার হোসেন একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ১৩০টি কারখানায় কমপক্ষে ২ লাখ শ্রমিক কর্মরত আছেন। ১৩/১ ধারায় কারখানা বন্ধ হওয়ায় আমরা শ্রমিক নেতারা উদ্বিগ্ন। আমরা চাই শিল্পের চাকাও ঘুরুক, শ্রমিকেরাও বাঁচুক। দ্রুত সমস্যার সমাধান করে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি যানাচ্ছি। সম্প্রতি মজুরি বোর্ড পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ১২ হাজার টাকা ঘোষণা করে। শ্রমিকেরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করে।
শনিবার সকাল থেকে আশুলিয়ার টঙ্গী-ইপিজেড-আশুলিয়া- সড়কের জামগড়া, নরশিংহপুর, ছয়তলা, জিরাবো এলাকার দুই পাশে থাকা গার্মেন্টস কারখানাগুলো প্রায় বন্ধ রয়েছে। কারখানাগুলোর সামনে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিশ। পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সকালে এসে আবার যার যার বাসায় চলে গেছেন। তবে এসব অঞ্চলে শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে