আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহে ফের পূর্ণমাত্রায় ফিরেছে বাংলাদেশ। মাসিক বিলের পাশাপাশি পুরনো বকেয়া শোধ করায় সন্তুষ্ট ভারতীয় এই প্রতিষ্ঠানটি। আদানি পাওয়ারের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা দিলিপ ঝা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বকেয়ার পরিমাণ এখন আগের তুলনায় অনেকটাই কম।
শুক্রবার (২ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে উঠে আসে এই তথ্য। আদানি পাওয়ারের ‘আয় পরবর্তী বৈঠকে’ দিলিপ ঝা বলেন, “বাংলাদেশ এখন নিয়মিত মাসিক বিল দিচ্ছে এবং পাশাপাশি বকেয়া অর্থও শোধ করছে। তাই আমরা বাংলাদেশে আবারও পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি।”
আদানি পাওয়ার জানায়, বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাদের মোট পাওনা ছিল ২ বিলিয়ন ডলারের মতো। যার মধ্যে ইতোমধ্যে ১.২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি রয়েছে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার। তবে বাংলাদেশ সরকার যেভাবে বকেয়া পরিশোধ করছে, তাতে প্রতিষ্ঠানটি আশাবাদী পুরো অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে।
২০১৭ সালে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চলছিল, কিন্তু ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধে হিমশিম খেতে শুরু করে। বকেয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকায় আদানি তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে।
শেখ হাসিনার সরকারের শেষ সময়ে এই অর্থনৈতিক চাপ আরও বেড়ে যায়। তবে অন্তর্র্বতী সরকার এসে বিল পরিশোধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ায় আবারও স্বাভাবিক হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ।
আদানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা শুধু বিলই পাচ্ছি না, বরং অতীতের বকেয়াও ধীরে ধীরে পরিশোধ হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক বার্তা।” বাংলাদেশের শিল্প ও বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এই ধরণের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।