আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে সাবেকমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, এখনকার পরিবেশ কিন্তু সবসময় থাকবে না। হত্যা মামলায় গ্রেফতার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ও আমির হোসেন আমুকে রিমান্ড শুনানির জন্য আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাকে কথা বলার জন্য দুই মিনিট দেয়া হয়।
বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী আমু বলেন, আমি ঢাকা বারের সদস্য, হাইকোর্ট বারের সদস্য। বর্তমান পরিবেশ দেখে দুঃখিত। এই পরিবেশে আমার কিছুই বলা উচিত না। আদালতে মামলা চলবে। আমি ভবিষ্যতে আমার বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করব। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীতো অনেক কথাই বলেছেন। আমি একজন রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে গেলে আমার দুই ঘণ্টা সময় লেগে যাবে।
বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: শাহিন রেজার আদালতে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরাকরের সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর রিমান্ড শুনানি চলাকালে তার আইজীবীকে মারধর করেলে আদলতের ভেতরে হট্টগোল শুরু হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আইনজীবীরা ভাই ভাই, মিলেমিশে থাকা উচিত। এখনকার পরিবেশ কিন্তু সবসময় থাকবে না। ওই সময় আবারও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। পরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো: ওমর ফারুক ফারুকীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এসময় (পিপি) ফারুকী বলেন, যখন তিনি ক্ষমতায় ছিলেন তখন কি খবর নিয়েছিলেন ঢাকা বার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা তো ভালোই ছিল। কিন্তু নির্বাচনের সময় সিল মেরে তাঁরা ভোট নিয়ে গেছে , আইনজীবীদের আদালতে মারধর করেছে। ওই সময় তিনি কী ভূমিকা পালন করেছিলেন?
এরপর আমির হোসেন আমু বলেন, প্রথমবার যখন আদালতে গোলমাল হয় আমি এর বিরোধিতা করি। ভোট দিতে আসিনি, নির্বাচন বয়কট করেছিলাম।
আজ দুপুরে আদালতে রিমান্ড শুনানিতে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমুর রিমান্ডের পক্ষে বক্তব্য দেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। এ সময় তার বক্তব্যটি রাজনৈতিক বলে মন্তব্য করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী। তখন উপস্থিত অন্য আইনজীবীরা উত্তেজিত হয়ে আদালতে তাকে মারধর শুরু করেন। মারধরের একপর্যায়ে আমুর আইনজীবী স্বপন রায় আদালতের দরজার সামনে পড়ে যান। এরপর তাকে লাথিও মারা হয়। পরে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তাকে তুলে আদালত থেকে বের করে দেন।
অভিযোগ জানিয়ে ভুক্তভোগী আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, আদালতে শুনানি চলাকালীন আমাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালত এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেননি। এখানে কোনও ন্যায়বিচার নেই। আমি এর বিচার চাই।