জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল ঘিরে ঘটেছে বিরল এক ঘটনা। শ্রীকর্ণদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার এক শিক্ষার্থী এক বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সে ফেল করেছে গণিত, কৃষি দুই বিষয়েই। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিৎ চন্দ্র মোহন্ত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। এরপর ২০২৪ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। সে সময় ১৪টি বিষয়ে পরীক্ষা দেন এবং শুধু গণিতে অকৃতকার্য হন।
এক বছর পর, ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় শুধুমাত্র গণিত বিষয়ে অংশ নেন তিনি। কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, ফলাফলে তাকে গণিত ও কৃষি এই দুই বিষয়ে ফেল দেখানো হয়েছে। অথচ, তার এডমিট কার্ড ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের তালিকায় শুধু গণিতই ছিল।
জিৎ চন্দ্র মোহন্ত বলেন,‘২০২৪ সালে আমি কেবল গণিতে ফেল করেছিলাম। সে অনুযায়ী এই বছর (২০২৫) কেবল গণিতেই পরীক্ষা দিয়েছি। কিন্তু ফলাফলে কৃষিতেও ফেল দেখানো হয়েছে! অথচ কৃষি তো আমি পরীক্ষাই দিইনি। এটা দেখে আমি ভীষণ অবাক হয়েছি, আর মানসিকভাবে বিপর্যস্তও।’
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যেও শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। অনেকেই বিষয়টিকে বোর্ডের ‘কারিগরি ত্রুটি’ হিসেবে দেখছেন।
বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার সহকারী শিক্ষক ওরম ফারুক বলেন,‘বোর্ডের কোনো সফটওয়্যারজনিত সমস্যার কারণে এমন ফলাফল হতে পারে। আমরা আশা করছি, নম্বরপত্র দেওয়ার সময় এই সমস্যার সমাধান হবে।’
প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন বলেন,‘এ ধরনের অভিযোগ আরও দুই শিক্ষার্থী তুলেছে। তাদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। কৃষি চতুর্থ বিষয় হওয়ায় ফলাফলে এটি বড় প্রভাব ফেলার কথা নয়। আমরা বিষয়টি বোর্ডে জানিয়েছি, তারা তদন্ত করে দেখবে।’
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের সঠিক ফল নিশ্চিতে তারা বিষয়টি দ্রুতই বোর্ডে লিখিতভাবে জানাবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হতাশ না হয়ে অফিসিয়াল মার্কশিটের অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষকরা।