কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে বেড়াতে গিয়ে ঘটে গেল মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা। সমুদ্রে গোসলে নেমে স্রোতের তোড়ে ভেসে যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তিন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও বাকি দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে হিমছড়ির সমুদ্রসৈকতের বাঁধসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম সাদমান রহমান সাবাব (২১)। তিনি ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা। বাবা কে এম আনিসুর রহমান। নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থী হলেন, অরিত্র হাসান বগুড়ার দক্ষিণ সনসনিয়ার আমিনুল ইসলামের ছেলে ও আসিফ আহমেদ বগুড়া সদরের নারুলি দক্ষিণের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
তারা সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, পাঁচ বন্ধু মিলে কক্সবাজার ঘুরতে যান। আজ সকালে হিমছড়ি সৈকতে ঘুরতে গিয়ে তারা দুইভাগে ভাগ হয়ে যান, দুজন বাঁধের ওপর বসে থাকেন, আর বাকি তিনজন নেমে যান পানিতে গোসলের জন্য। কিছুক্ষণ পরেই সাগরের স্রোত তীব্র হয়ে ওঠে। আর তখনই পানিতে থাকা তিনজন স্রোতে ভেসে যান। সাদমান রহমান সাবাবের মরদেহ দ্রুত উদ্ধার করা হলেও অরিত্র ও আসিফ এখনো নিখোঁজ।
সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, “পাঁচ বন্ধু মিলে সৈকতে যায়। তিনজন নিচে নেমে গোসল করছিলেন। হঠাৎ সাগরের ঢেউয়ে তারা তলিয়ে যায়। সাদমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুজন নিখোঁজ রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আবহাওয়া খারাপ থাকায় সমুদ্র উত্তাল। উদ্ধার কাজ চালাতে একটু বেগ পেতে হচ্ছে।”
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, “সাদমান নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড সদস্যরা একসঙ্গে তল্লাশি চালাচ্ছেন।”