কুমিল্লায় অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মো: তানভীর আহমেদ (৩২) নামে এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী মো: সেলিম মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৪ জুন) রাতে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের গড়ামারা গ্রামের মো: আক্কাস আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (০৫ জুন) সকালে ঘটনাস্থল থেকে নিহত তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তানভীর চান্দিনা উপজেলার গনিপুর গ্রামের মো: বাবুল ভূইয়ার ছেলে ও বাড়েরা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর দাবি, মঙ্গলবার গভীর রাতে যুবলীগ নেতা তানভীর তার শোবার ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তার স্বামী মো: সেলিম স্ত্রীকে বাঁচাতে যায় এবং তানভীরের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ঘরে থাকা লাঠি দিয়ে তানভীরের মাথায় সজোরে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যান।
হত্যার ঘটনাটি রহস্যজনক বলে দাবি করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো: আহসান হাবিব ভূইয়া জানান, এ হত্যাকান্ডটি সন্দেহজনক। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখলাম, এলাকাটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ, ওই বাড়িতে কোনো উঠান নেই। বাড়ির পাশপাশের লোকজন ঘটনাটি জানবে না সেটা তো হতে পারে না। স্থানীয় লোকজন এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।
তবে নিহত যুবলীগ নেতা তানভীরের মা নিলুফা বেগম জানান, ওই নারী মিথ্যা কথা বলছেন। আমার ছেলেকে হত্যার জন্য নাটক সাজিয়েছে ওরা। আমার ছেলে তানভীরকে পরিকল্পিতভাবে তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকান্ডের সংবাদ পেয়ে বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল যেখানে সেই এলাকাটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ। তারপরও এই হত্যাকান্ড নিয়ে স্থানীয় লোকজন কিছুই জানেন না। নিহত তানভীরের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
কুমিল্লায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টায় যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দিনা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহমেদ সনজুর মোরশেদ জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী মো: সেলিমকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষেরা এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না। তদন্তের পর ঘটনার মূল রহস্য জানা যাবে।