কুমিল্লায় ফেসবুকে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান মাহমুদ (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে কুমিল্লা নগরীর নিমতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোস্তাফিজুর রহমান মাহমুদ ওই এলাকার রাজীব আহাম্মদ রাজু মিয়ার ছেলে। সে ২০২৩ সালে কুমিল্লার ঈশ্বর পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে (এসএসসি) পরীক্ষা দিয়ে গণিত বিষয়ে ফেল করেছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, মোস্তাফিজুর আজ ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে পুনরায় ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যায়। পরে সকাল ১০ টার দিকে তার মা ঘুম থেকে ওঠার জন্য ডাকা-ডাকি করলে কোনো সাড়া-শ্বব্দ না পাওয়ায় বিষয়টি পরিবারে অন্য সদস্যদের জানায়। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে দেখতে পায় মাসুদের ঝুলন্ত মরদেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহত মোস্তাফিজুরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের মা সুমা আক্তার বলেন, মোস্তাফিজুর ২০২৩ সালে কুমিল্লা ঈশ্বর পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে (এসএসসি) পরীক্ষা দিয়ে গণিত বিষয়ে ফেল করে। ২০২৪ সালে পুনরায় গণিত বিষয়ে পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল তার। গতকাল মোস্তাফিজুরের বাবাকে স্কুলের গণিতের সহকারী শিক্ষক বন্ধনা রানী মজুমদার ফোন করে বলে আপনার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মাহমুদ এর নাম খাতা থেকে কেটে দেয়া হয়েছে। তার আর স্কুলে যাওয়া লাগবে না।
পরে এই নিয়ে মোস্তাফিজুর বাবা তার ছেলেকে বকাবকি করলে সে জানায় ওই স্কুলে শিক্ষিকা বন্ধনা রানী মোস্তাফিজুরকে প্রতিনিয়ত অন্যান্য সহপাঠীদের সামনে বকাবকি করতো। তার সঙ্গে স্কুলের সবার সামনে খারাপ ব্যবহার করতো তিনি। এই ক্ষোভে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে।
কুমিল্লায় ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে তরুণের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।