কুষ্টিয়া সদরে মানবপাচার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার (২৮ মে) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহোকুলা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি মোবাইল ফোন ও ৪শ’ অবৈধ মোবাইল সিম উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহোকুলা গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও মসারত মন্ডলের ছেলে কুবাদ আলী (৪২)। বুধবার (২৯ মে) পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো: মেহেদী হাসান জানান, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের নওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো: আল-আমিন শেখ (২৮) জীবিকার তাগিদে লিবিয়ায় গমন করে। এর দুই বছর পর ওই মানবপাচার চক্রের কবলে পড়েন তিনি। ওই চক্রের ৪/৫ জন সদস্য আল-আমিনকে লিবিয়ার একটি বাড়িতে আটকে রাখে।
পরে এক ব্যক্তি তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মোবাইল ফোনে দশ লাখ টাকা দাবি করে। এরপর ওই ব্যক্তি আল আমিনকে মারধর করার ভিডিও ও ছবি তার পরিবারের সদস্যদের কাছে প্রেরণ করে। আল আমিনকে বাঁচাতে তার পরিবারের লোকজন ওই ব্যক্তির দেওয়া বিকাশ নাম্বারে ৩ বারে মোট ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। পরবর্তিতে আবারও টাকা দাবি করে ওই চক্রটি।
ঘটনা উল্লেখ করে গত (৬ মে) আল আমিনের ছোট ভাই আরিফুরজ্জামান বাদি হয়ে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে নাড়াইল গোয়েন্দা পুলিশ মানবপাচার চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা শুরু করে।
নড়াইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহোকুলা এলাকা থেকে থেকে ৮টি মোবাইল ফোন ও ৪শ’ অবৈধ মোবাইল সিমসহ তরিকুল ও কুবাদকে আটক করে। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।