বগুড়ার শেরপুরে চাকরি ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়নের দাবিতে ইউএনওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড শেরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি এস এম কামরুজ্জামান স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মকবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম চান, বীর মুক্তিযোদ্ধা যতীন্দ্রনাথ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড শেরপুর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে ৮০ ভাগ আঞ্চলিক কোটার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হতো। দেশ স্বাধীন হলে চাকুরির ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ৮০ ভাগের মধ্যে ৩০ ভাগ কোটা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা হয়। এর পরবর্তিতে ২০০৯ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনীদের জন্যও কোটা চালু করা হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এই বৈষম্য বিলোপ করার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, “আমারা স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেছি। বিধি মোতাবেক যাথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।“