জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দুই ছাত্র উপদেষ্টার বিষয়ে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে, তাঁরা এই সরকারের প্রতিনিধি হলেও, এনসিপির কেউ নন। বরং তাঁরা গণ-অভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা প্রতিনিধির ভূমিকায় রয়েছেন। এমনটা জানিয়েছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রোববার (২৫ মে) সকালে চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেট এলাকায় এনসিপির পথসভায় এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “যে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে, তাঁরা এনসিপির প্রতিনিধি নন। তাঁদের দলীয় ট্যাগ দিয়ে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধিত্ব করছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের নয়।”
তিনি আরও বলেন, “এই বিষয়টি আমরা শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেও আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, তাঁদের (দুই উপদেষ্টা) প্রতি সম্মান থাকা উচিত। বারবার দলীয়ভাবে চিহ্নিত করার মাধ্যমে সম্মানহানি করা হচ্ছে, যা আমরা মেনে নিতে পারি না।”
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য স্বাভাবিক বলেই মনে করেন হাসনাত। তবে সংকটের সময়ে ঐক্য গড়ে তোলার দিকেই ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “নীতির জায়গা থেকে মতভেদ থাকবে। কিন্তু যখন জাতীয় সংকট আসে, তখন সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করি। এটা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের ধারাবাহিকতা।”
তিনি বলেন, “যখনই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, তখন সব গণ-অভ্যুত্থানকারী শক্তি ও ফ্যাসিবাদবিরোধী দল একজোট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এবারও ব্যতিক্রম হবে না।”
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার পথসভা প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, “আমরা বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়ে জনগণকে জানাতে মাঠে নেমেছি। আবার মানুষ কী ভাবছে, সেটাও জানার চেষ্টা করছি।”
তিনি আরও জানান, নতুন সংবিধান, গণপরিষদ গঠন, আইনসভা নির্বাচন, আহত ও শহীদ পরিবার পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আগের দিন তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার কর্ণফুলী, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, দোহাজারী, চন্দনাইশ, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে পথসভা করছে এনসিপি।
পথসভাগুলোতে হাসনাত আবদুল্লাহ ছাড়াও দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা ও যুগ্ম সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হক উপস্থিত রয়েছেন।