দীর্ঘ ২০ ঘণ্টার টানা ও ভারী বর্ষণে ডুবে গেছে পুরো কক্সবাজার শহর। সমুদ্র সৈকত এলাকার হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ জোনগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন ঘুরতে যাওয়া হাজারো পর্যটক।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টা পর্যন্ত হোটেল কক্ষগুলোতে প্রায় ২৫ হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় পর্যটকরা কোথাও বের হতে পারছেন না। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে লাল নিশানা উড়িয়ে পর্যটকদের সতর্ক এবং সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে।
গত ৫০ বছরে কক্সবাজার শহরে কখনো এমন জলাবদ্ধতা দেখা দেয়নি। অপরিকল্পিত সড়ক উন্নয়ন, ঠিকমতো নালা পরিষ্কার না করা এবং শহরের পাহাড় নিধন বন্ধ না হওয়ার কারণে এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে জানিয়েছেন হোটেল মালিকরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বৃষ্টিপাত শুরু হলেও ভারী বর্ষণ শুরু হয় দুপুর ১২টা নাগাদ। এরপর রাত ১২টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে শহরের প্রায় ৮ লক্ষ মানুষের জীবন অনেকটা থমকে যায়।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ফের ভারী বর্ষণ শুরু হয়, তার সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। দুপুর ৩টা পর্যন্ত আরো কয়েক ঘণ্টার ভারী বর্ষণে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক, কলাতলী সমদ্রসৈকত সড়কসহ প্রায় ৩৫টি উপসড়ক একেবারে ডুবে গেছে। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল।
কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ (এ বি) মো: হান্নান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা থেকে শুক্রবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এবারের মৌসুমে এটি ১ দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপতের রেকর্ড। চলমান ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসের তীব্রতাও বেশি হবে, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে বৃদ্ধি পেতে পারে।