কুমিল্লার দেবিদ্বারে শিশু আব্দুল্লাহকে (৯) গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেছেন তার সৎ মা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক ওই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত আব্দুল্লাহ ইউসুফপুর গ্রামের মো: আমান উল্ল্যাহর ছেলে। ঘাতক নারী আমান উল্ল্যাহর ২য় স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নয়ন মিয়া জানান, নিহত শিশুর বাবা মো: আমান উল্ল্যাহ কুমিল্লার মেঘনায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করে। প্রায় ৩ বছর আগে আব্দুল্লাহর আপন মা বরিশাল জেলার এক পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে চলে যান।
পরে আব্দুল্লাহর বাবা আবার বিয়ে করেন। ওই বিয়ের পর সৎ মা শিশু আব্দুল্লাহকে প্রথমে মেনে নিলেও তার নিজের সন্তান জন্মের পর আব্দুল্লাহকে তিনি সহ্য করতে পারতেন না। এ নিয়ে প্রায়ই সংসারে ঝামেলা হতো।
শনিবার ১১টার দিকে আব্দুল্লাহ মাঠ থেকে খেলা-ধুলা করে এসে তার সৎ মায়ের কাছে শরীর ব্যথার ওষুধ ও পানি চায়। পরে সৎ মা পানি এনে দিলে শিশু আব্দুল্লাহ ওষুধ খেয়ে তার ছোট ভাইয়ের গায়ে পানি ছুড়ে মারে। এতে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হন সৎ মা।
রেগে গিয়ে তার গায়ে থাকা ওড়না দিয়ে শিশু আব্দুল্লাহর গলায় পেঁচিয়ে ধরেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আব্দুল্লাহ। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘাতক সৎ মাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির গলায় ওড়না পেঁচানোর দাগ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ঘাতককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।