চুয়াডাঙ্গায় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের আসরে হাজির হয়েছেন ‘প্রথম স্ত্রী’। বরযাত্রীদের খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এমন সময় বরের খালাতো বোন হাজির হয়ে দাবি করেন তিনি ওই যুবকের (বর) স্ত্রী। গত ৮ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। তার এ কথার পরপরই পাল্টে যায় বিয়ে বাড়ির চিত্র।
বিয়ে বাড়িতে শুরু হয়ে যায় ত্রিমুখী সংঘর্ষ। এতে আহত হন বর, নববধূ, বরযাত্রী ও আগের দাবি করা স্ত্রীসহ ৭-৮ জন। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় বিয়ের আসরেই নববধূকে তালাক এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭৫ হাজার টাকা দেনমোহর সহ সাড়ে ৪ লাখ টাকা গচ্ছা দিতে হয়েছে বরকে। থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ১ম স্ত্রীর বাবা।
ঈদের আগের দিন রবিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার আকন্দবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার শিংনগর গ্রামের মো: শমসের আলীর ছেলে মো: আসিফ রহমান (২২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেলে একই উপজেলা দর্শনা থানার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মৃত মো: মিজানুর রহমানের মেয়েকে বিয়ে করতে অর্ধশত সহযাত্রীসহ আসেন বর মো: আসিফ রহমান। খাওয়া-দাওয়া শেষে সন্ধ্যার দিকে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এর কিছুক্ষণ পরই বরের খালাতো বোন বিয়ের আসরে হাজির হয়ে অভিযোগ করেন, তার সাথে ৮ মাস আগে বিয়ে হয়েছে আসিফের। এ কথা বলার সাথে সাথে বিয়ে বাড়িতে বেধে যায় ত্রিমুখী সংঘর্ষ। এতে বর, নববধূ, বরযাত্রী ও আগের দাবি করা স্ত্রীসহ অন্তত ৭-৮ জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সিদ্ধান্তে নববধূর দেনমোহরের ৭৫ হাজার টাকাসহ ক্ষতিপূরণ বাবদ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বরকে। একইসাথে বিয়ে পড়ানোর একই কাজি দিয়ে নববধূ ও বরের তালাক সম্পন্ন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গায় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের আসরে প্রথম স্ত্রীর হাজির হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দর্শনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, থানার এসআই মো: ফাহিম হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এছাড়াও গত ৮ মাস আগে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা বরের খালাতো বোনের সাথে যে বিয়ে হয়েছিলো, তার বৈধ ১ম স্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম স্ত্রীর বাবা বুধবার (১৯ জুন) থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।