গাজীপুরের টঙ্গীতে ১টি ওষুধ ও ৩টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। রাবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে স্ব স্ব কারখানার ভেতর এই কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এতে বন্ধ আছে কারখানাগুলোর সব উৎপাদন কার্যক্রম।
কারখানাগুলো হলো, ২৭ বাগানবাড়ি এলাকার প্রিন্স জ্যাকার্ড লিমিটেড, টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকার সিজন ড্রেসেস লিমিটেড, চেরাগআলীর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং খাইলকুরের এম এম ফ্যাশন লিমিটেড। কারখানাগুলোতে কাজ করেন হাজার হাজার শ্রমিক।
জানা গেছে, সিজন ড্রেসেস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকদের গত জুলাই-আগস্ট মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এর প্রতিবাদে পোশাক শ্রমিকেরা গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এরপর মালিকপক্ষ জুলাই মাসের শুধু অর্ধেক বেতন পরিশোধ করেন। বকেয়া বেতনের দাবিতে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আবারো কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেও কর্মবিরতি শুরু করেছেন শ্রমিকেরা।
একইভাবে গত আগস্ট মাসের বেতন বকেয়া আছে এম এম ফ্যাশন কারখানার এবং প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড শ্রমিকদের। বকেয়া বেতনের দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরেই কারখানা ২টিতে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিলো। রবিবার সকালে শ্রমিকেরা কারখানার সব উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
আর শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ৬ দফা দাবিতে কারখানার সামনের সড়ক অবরোধ করে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সব শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। সেদিন কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা কাজে ফেরেন। কিন্তু এরপরেও দাবিগুলো পূরণ হয়নি জানিয়ে রবিবার থেকেই কারখানার সব উৎপাদন বন্ধ করে দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
টঙ্গীতে বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতি পালনের বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার (এসপি) মো: মোশারফ হোসেন জানান, ‘কারখানাগুলোর মালিপক্ষ সময় মতো বা ঠিকমতো বেতন পরিশোধ না করার কারনে পোশাক শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। ৪টি কারখানার শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা চলছে, তারা যেন সড়ক অবরোধ বা কোনো প্রকারের বিশৃঙ্খলা না করেন।’