রোদের আগুনে যেন ঝলসে যাচ্ছে জনপদ। বাতাসে নেই বিন্দুমাত্র শীতলতা, বরং ঘামে ভিজছে শরীর, কষ্টে কাঁপছে জনজীবন। বগুড়াসহ সারা দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ, প্রাণী এবং প্রকৃতি।
গত কয়েকদিন ধরেই চলছে গরমের ভয়াবহ দাপট। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার (১১ মে) বিকাল ৪টা পর্যন্ত বগুড়ার তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শনিবার তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন চলবে। স্বস্তির বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই ১৩ মে’র আগ পর্যন্ত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, টানা পাঁচদিন স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রার চেয়ে ৫ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা বজায় থাকলে সেটিকে ‘দাবদাহ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসেবেও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেলে সেটি ‘তীব্র দাবদাহ’ হিসেবে বিবেচিত।
এদিকে এই অতিরিক্ত উত্তাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। রিকশাচালক, দিনমজুর, কৃষকরা কাজ ফেলে রাস্তার পাশে আশ্রয় নিচ্ছেন। কারও মাথায় ছাতা, কেউবা মুখে পানি ছিটিয়ে শরীর ঠাণ্ডা করার চেষ্টায়। শিশু-কিশোররা আশ্রয় নিচ্ছে পুকুর-খালে জলকেলিতে।
তবে গরমের প্রকোপ শুধু মানুষে সীমাবদ্ধ নয়। পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাওয়ায় কৃষিজমিতে দেখা দিয়েছে সেচসংকট। অনেক জায়গায় নলকূপে পানি উঠছে না, ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিকরা কাজ করতে পারছেন না। এর সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং।
আবহাওয়া অফিসের টেলিপ্রিন্টার অপারেটর মো. শাহিদুজ্জামান সরকার জানিয়েছেন, “তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে, তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে পারদ।”