ঋতুর হিসাবে এখনো বসন্তকাল হলেও, বাইরের প্রখর রোদে সেটা বোঝার কোনো উপায় নেই! তীব্র গরমে যেমন শরীরে পানিশূন্যতা, ত্বকের ক্ষতি কিংবা হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে, তেমনি হৃদযন্ত্রের ওপরও পড়ে বাড়তি চাপ। তাই গরমকালে এমন কিছু খাবার খাওয়া দরকার, যেগুলো শরীরকে ঠান্ডা রাখবে এবং হার্টকে সুস্থ রাখবে।
এই দিক থেকে টমেটো হতে পারে এক অসাধারণ উপকারী খাবার। চলুন জেনে নিই, গরমকালে টমেটো খাওয়ার উপকারিতা কী কী।
শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখে
গরমে প্রচুর ঘাম হয়, ফলে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় প্রয়োজনীয় পানি ও লবণ। টমেটোর প্রায় ৯৫% জলের সমন্বয়ে তৈরি, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে এবং ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত টমেটো খেলে শরীর সতেজ ও চনমনে থাকে।
ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করে
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য ভয়ংকর হতে পারে। সানবার্ন, ট্যানিং, বা কোষের ক্ষয়—এই সব সমস্যার সমাধানে টমেটো খুবই কার্যকর। টমেটোতে রয়েছে লাইকোপিন নামে এক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বককে UV রশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও সুস্থ রাখে। নিয়মিত খেলে ব্রণ ও দাগও কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
গরমকালে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বেশি হয়। টমেটোতে থাকা ভিটামিন C ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, ফলে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শরীর চাঙা থাকে, কমে ক্লান্তিভাব।
হৃদযন্ত্রের যত্ন নেয়
টমেটোর পটাশিয়াম ও লাইকোপিন হার্টের জন্য দারুণ উপকারী। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে আর লাইকোপিন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। যারা অতিরিক্ত তেল-মসলা খেতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য টমেটো হতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর সহজ সমাধান।
হজমক্ষমতা বাড়ায়
গরমে হজমের সমস্যা খুব সাধারণ। টমেটোতে থাকা ফাইবার ও প্রাকৃতিক অ্যাসিড হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এটি দারুণ কাজ করে।
উপসংহার
প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এই টমেটো গরমকালে আপনার শরীরের সেরা বন্ধু হতে পারে। সালাদে, জুসে, কিংবা রান্নায়—যেভাবেই খান না কেন, প্রতিদিনের ডায়েটে টমেটো রাখুন আর সুস্থ থাকুন।