ঈদের ছুটিতে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন কলেজছাত্র মেরাজুল ইসলাম তমাল (১৮)। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর ফাঁকে মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে নেমেছিলেন যমুনা নদীর মেঘাই ঘাটে। কিন্তু ঘরে ফিরলেন লাশ হয়ে। নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর মরদেহ।
নিহত তমাল বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জামালপুর গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে এবং বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্থানীয়ভাবে তিনি ইসলামী ছাত্র শিবিরের একজন সক্রিয় কর্মী এবং ওয়ার্ড সভাপতি হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১১ জুন) সকালে বাবা-মায়ের সঙ্গে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মেঘাইঘাট এলাকায় নানার বাড়ি বেড়াতে যান তমাল। দুপুরের দিকে মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে যমুনা নদীতে গোসলে নামেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ স্রোতে তলিয়ে যান তিনি।
ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তল্লাশি চালালেও কোনও সন্ধান মেলেনি। পরে রাজশাহী থেকেও বিশেষ ডুবুরি দল এসে চেষ্টা চালায়, কিন্তু বিফল হয়। অবশেষে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মেঘাই নৌকা ঘাটের পাশেই ভেসে ওঠে তমালের মরদেহ।
স্থানীয়রা জানান, যমুনা নদীতে ওই জায়গায় স্রোত বেশ প্রবল। সকালে নদীর কিনারে মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে তাঁরা উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেন।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম বলেন, “তমালসহ তিনজন যমুনায় গোসলে নামে। স্রোতের কারণে দুজন উঠে এলেও তমাল ডুবে যায়। আজ সকালে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।”