নারায়ণগঞ্জ সদরে যৌতুকের জন্য জেসমিন বেগম নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর খানঁপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ৷
রবিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার লাকী বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত জেসমিন চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানার দশআনী গ্রামের মৃত মো: গোলাম মোস্তফার মেয়ে। তিনি লাকী বাজার এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে তার স্বামী আলী হোসেনের সঙ্গে থাকতেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত জেসমিনের ৪ ভাই প্রবাসী হওয়ায় তার কাছ থেকে নানা অজুহাতে টাকা চাইতেন স্বামী আলী হোসেন। বেশ কয়েকদিন আগেও জেসমিনকে টাকার জন্য মারধর করে তার স্বামী। পরে মারধরের বিষয় তার মেজো ভাইকে জানান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
পরে রবিবার রাতে স্বামী আলি হোসেন নিহতের পরিবারকে ফোন দিয়ে জানায় জেসমিনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এবং সে মারা গেছে। তারপর পরিবারে লোকজন এসে নিহত জেসমিনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে হাসপাতাল থেকে জেসমিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের বড় ভাই ও বোনের দাবি, তাদের বোন জেসমিনকে পিটিয়ে ও আঘাত করে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
নারায়ণগঞ্জ সদরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নুরে আজম বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে জেসমিনের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে ময়নাতদন্তের পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের মরদেহ নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করলে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।