নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিলের দাবি উঠতেই মুখ খুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তাঁর মতে, এই একক সিদ্ধান্ত শুধু নারীর অধিকারকেই খর্ব করে না, বরং সব ধরনের সংস্কার কমিশনের অস্তিত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।
শনিবার (০৩ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক একাউন্টে দেয়া এক পোস্টে তিনি লিখেনে, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থাণের পর মেয়েদের সাইডে বসিয়ে এখন রাজনৈতিক পাড়ায় নারী অধিকার নিয়ে সালিস বসছে দেখছি। হায়রে নাটক!
তিনি প্রশ্ন তোলেন, সরকার যখন একটি ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করেছে সংস্কারের আলোচনার জন্য, তখন একটি কমিশনের রিপোর্ট একতরফাভাবে বাতিলের চেষ্টা ঠিক কোন উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে?
“সব সংস্কার কমিশনের রিপোর্টেই তো বাস্তবায়নে জটিলতা থাকে,” বলেন উমামা, “কিন্তু সেগুলো নিয়ে মতামত দেওয়া যায়, পুরো কমিশন বাতিলের প্রস্তাব তোলা মানে বাকিদেরও বাতিলযোগ্য করে তোলা।”
নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতে সমাজের নানা স্তরের নারীদের সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। এই রিপোর্টকে ঘিরে মত-পার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু সেটিকে ঘিরে জনসম্মুখে যেভাবে নারীবিদ্বেষমূলক ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে, তা তিনি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছেন।
“নারীরা গদি সুরক্ষার উপকরণ নয়” — এই বার্তাও দেন তিনি। লেখেন, “নারীরা কোনো ব্যবহারের বস্তু না যে আপনার গদি সিকিউর করে রান্নাঘরে ফিরে যাবে।”
উমামার ভাষ্য অনুযায়ী, “নারীদের অধিকার বাদ দিয়ে এই দেশে মেইনস্ট্রিম রাজনীতি গড়ে তোলা যাবে না।” তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানেই জনগণের এই বার্তা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
শেষ পর্যন্ত স্পষ্ট বার্তাই দিয়েছেন এই ছাত্রনেত্রী: “স্টেজে গলাবাজি করে, চোখরাঙানি দিয়ে নারীদের প্রান্তিক করা সম্ভব না।”