বগুড়ার শেরপুরে চেতনা নাশক খাইয়ে অটোচালককে অজ্ঞান করে ইজি বাইক চুরির ঘটনায় আন্তঃজেলা চোর চক্রের চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া দুইটি ইজি বাইক ও চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে মোঃ লাভলু মন্ডল শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, মোঃ লাভলু মন্ডলের ছেলে মোঃ শামীম (২৫), পেশায় একজন ইজি বাইক চালক, গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় ইজি বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এদিন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শেরপুর থানাধীন ধাওয়াপাড়া-সোনাকানিয়া বাজারের কাছে রাস্তার পাশে অচেতন অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। এসময় তার ইজি বাইকটি চুরি হয়ে যায়। দ্রুত উদ্ধার করে তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে সন্দেহ করা হয়, অজ্ঞাত চোরেরা তাকে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে অজ্ঞান করে ইজি বাইকটি চুরি করেছে। পরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
তদন্তে নেমে শেরপুর থানার এসআই মোঃ রকিব হোসেন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে মোঃ আসাদুল ইসলাম (২৭) নামে একজনকে চুরি যাওয়া ইজি বাইকসহ বগুড়ার শাজাহানপুরের পোয়ালগাছা হাই স্কুলের সামনে থেকে হাতেনাতে আটক করেন।
তার দেয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে একই চক্রের আরও দুই সদস্য, মোঃ ওয়াহেদুল ইসলাম (২৯) এবং মোঃ ফিরোজ উদ্দিন (৩০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নিকট থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি সবুজ পুরাতন সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
এসআই মোঃ রকিব হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে ইজি বাইক ও অটোরিকশা চুরি করে সেগুলো বিক্রি করে আসছিল। এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং বাকি পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, “পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূল সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।”