বগুড়ার শেরপুরে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবু সাঈদ (৪০) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের র্যাব- ১২ এর সহযোগিতায় গেলো শনিবার (২৩ মার্চ) শেরপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। রবিবার (২৪ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়ার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যার পর সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাত পৌনে বারোটায় পুলিশ তাকে শেরপুর থানার হেফাজতে নিয়ে আসে।
শেরপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে মেহেরপুর জেলায় একটি চোরাচালান আইনে মামলা হয়। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের এই মামলায় ২০১৭ সালে তার বিরুদ্ধে আদালত ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড সহ ৫ হাজার টাকা অর্থ দন্ড দেয়।
শেরপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক রকিব হোসেন বলেন, ২০০৯ সালে আবু সাঈদ মেহেরপুরে ফেনসিডিল সহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। পরে তার বিরুদ্ধে চোরাচালান আইনের একটি মামলা এজারভুক্ত হয়। এই মামলায় আবু সাঈদ অন্তত সাত মাস পর জামিনে আদালত থেকে ছাড়া পান। এরপর পরবর্তী তিনবার সে আদালতে হাজিরা দিয়েছিল। ২০১০ সাল পর থেকে সে আর আদালতে হাজিরা দেয়নি।
২০১৭ সালে আদালত তার বিরুদ্ধে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও তৎসহ ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন। মূলত ২০১০ সাল থেকে আবু সাঈদ পুলিশের হাতে গ্রেফতারের ভয় ভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থাকে। আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা শেরপুর থানায় আসার পর থানা পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়ে আবু সাঈদকে গ্রেফতার করতে পারিনি। অবশেষে সিরাজগঞ্জের র্যাবের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শনিবার রাতে।
আবু সাঈদ প্রথমে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে ছিলেন। শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামে তার নিজস্ব বাড়ি এবং সে এখান থেকে ভোটার হয়েছে। পুলিশের কাছ থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে সে পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে বাসা বাড়ি তৈরি করে। এছাড়া আবু সাঈদ বিভিন্ন সময় গোপনে রাত্রিযাপন করে শেরপুর, রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
বগুড়ার শেরপুরে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ২০০৯ সালে ফেনসিডিলসহ আবু সাঈদ মেহেরপুর জেলায় গ্রেপ্তার হয়। ওই সময় তার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারায় মামলা করা হয় (জি আর নম্বর- ৫৮৪/০৯)। পলাতক থাকা অবস্থায় এই মামলার ২০১৭ সালে মেহেরপুরের স্পেশাল ট্রাইবুনাল- ৪ আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড তৎসহ ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়ার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।