বাজরে বরবটি, করলা, বেগুন ও টমেটো শতক ছাড়িয়েছে। রাজধানীর বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু ও পেঁয়াজের দামও চড়া। বাজারে দাম বৃদ্ধি হিসেবে টানা বৃষ্টিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ডিমের দাম কমেছে সামান্য।
শুক্রবার (০৫ জুলাই) রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার, কারওয়ান বাজার, কৃষি মার্কেট, ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।
বাজারে প্রতি কেজি বরবটি ১২০ টাকা, করলা ১২০ টাকা টমেটো ১৮০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, গাঁজর ১০০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ধন্দুল ৬০ টাকা, বেগুন ১২০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৮০ টাকা ও কচুরমুখী ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারভেদে প্রতি কেজি আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ টাকা, রসুন ২২০ চাকা ও আদা ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে এসব পণ্যের দামও বেড়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের সবজি বিক্রেতা বাদল বলেন, গত ৭ দিনের চেয়ে সবজির বাজার ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি। এর প্রধান কারণ টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি। আগে দেশের ৬৪ জেলা থেকে মালামাল আসতো। এখন বেশকিছু জেলায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও অনেকটা পথ ঘুরে তারপর রাজধানীর বাজে পণ্য ঢুকছে। তাই সরবরাহ খরচ অনেকটা বেশি হচ্ছে। বৃষ্টি কমলে দাম কিছুটা কমে আসবে।
এদিকে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায় ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়। গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায় ও খাসির মাংস প্রতি কেজি ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। বাজারে গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের দামও অনেক চড়া। প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায়। পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছের প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা দাম বেড়েছে। মাছ ব্যবসায়ীরাও দাম বাড়ার পেছনে বৃষ্টিকেই দায়ী করেছেন। বৃষ্টির কারণে মাছের সরবরাহ কমেছে বাজারে; তাই বাড়তি দাম বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।