ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাঁধ ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে মানুষ মরলে, তা আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো: হাসিবুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্রবাহিনীর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম বলেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাঁধ ছাড়ায় পানিতে তলিয়ে যদি মানুষ মারা যায়, তাহলে সেটিকে শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি কিংবা আকস্মিক বন্যা বলে উড়িয়ে দেওয়াটা ভুল হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, তারা যেন বিষয়টি আরো স্পষ্ট করেন। প্রয়োজনে তদন্ত সাপেক্ষে, যে বিষয়টি সত্য, সেটা যেন আমাদের জনগণের সামনে তুলে ধরা হয়।
তিনি আরো বলেন, এখন একটি রাজনৈতিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে একটি জাতীয় সংকট চলমান রয়েছে। এই জাতীয় সংকট নিরসনে সরকারের পাশাপাশি ছাত্র-জনতা থেকে শুরু করে প্রশাসনের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীরা গত ৬ দিন ধরে ত্রাণ সংগ্রহ এবং বিতরণের কাজ করছি।
টিএসসিতে নগদ অর্থ সংগ্রহ করি। বিকাশ, নগদ ও রকেটের মার্চেন্ট নাম্বার ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ সব জায়গায় জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশের মানুষ এক ও অভিন্ন। যেকোনো সংকট নিরসনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে সেটি খুবই স্পষ্ট হয়ে গেছে।
আরেক সমন্বয়ক মো: লুৎফর রহমান বলেন, গত ৬ দিনে আমাদের নগদ অর্থ সংগ্রহ হয়েছে মোট ৫ কোটি ৭৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬৯০ টাকা। বিকাশ, রকেট ও নগদে জমা হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা, এটি আরো বেশি হবে। যে পরিমাণ ত্রাণ আসছে সেগুলো আমরা প্যাকেজিংয়ের পর সারা দেশের বন্যা দুর্গত এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছি।
আলোচনা সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো: ফারুক ই আজম বলেন, বাংলাদেশে চলমান ভয়াবহ বন্যার মধ্যেই ভারত ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে। তবে এর ফলে এখন পর্যন্ত নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি।