গত ১৫ বছর আগে বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বিডিআরের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুর রহিমের জেলহাজতে মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর মহানগর হাকিম মো: আখতারুজ্জামানের আদালতে নিহত আব্দুর রহিমের ছেলে আইনজীবী আব্দুল আজিজ এই মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পিলখানা বিদ্রোহ মামলার আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল ও সাবেক (বিজিবি) মহাপরিচালক এবং সাবেক সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খান, শেখ সেলিম, শেখ ফজলে নূর তাপস, নুর আলম চৌধুরী লিটন, শেখ হেলাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম ও হাসানুল হক ইনু। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার স্বৈরাচার সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে। পরে বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম বিডিআরের (ডিএডি) হিসেবে পিলখানায় কর্মরত ছিলেন। তাকেও বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় আসামি করে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহারে আব্দুল আজিজ উল্লেখ করেন, তার বাবা আব্দুর রহিমকে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানার মধ্যে হত্যার চেষ্টা করে কয়েকজন। কিন্তু সাধারণ সৈনিকরা তার বাবাকে ভালোবাসতেন বিধায় তারা তার বাবাকে রক্ষা করেন। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে ডিএডি আব্দুর রহিমকে পিলখানার ঢাকা সেক্টরের ২য় তলায় নিয়ে জেনারেল আজিজ ও আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ আরও কয়েকজন বিডিআরের পিলখানার ঘটনার রাজসাক্ষী হতে বলেন। তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে রাজসাক্ষী হয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বলেন।
বাবা রাজি না হওয়ায় তাকে বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বাদীর বাবা আব্দুর রহিমের শরীরে ইনজেকশন পুশ করার মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়।