ভয়াবহ বন্যায় দেশের বিভিন্ন জেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়ায় উজানের ঢলে নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, হবিগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজারে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা।
এতে লক্ষ লক্ষ মানুষের বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ভয়াবহ বন্যায় বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।
চলমান বন্যায় কুমিল্লা জেলায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, কুমিল্লা শহরের ছোট এলাকার মো: কিশোর রাফি (১৫), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সোনাকাটিয়া গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে মো: শাহাদাত হোসেন (৩৪), নাঙ্গলকোট পৌরসভার দাউদপুর এলাকার মো: কেরামত আলী (৪৫) এবং লাকসামে পানিতে ডুবে এক শিশু মারা গেছে।
তবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতদের মধ্যে ২ জন বিদ্যুৎপৃষ্টে মারা গেছেন। এছাড়া বুধবার (২১ আগস্ট) বিকালে বৃষ্টির মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো: রাফি (১৫) নামে কুমিল্লা শহরের এক কিশোর মারা যায়।
এদিকে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কক্সবাজার জেলার ২ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কগুলো পানিতে ডুবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ জেলায় পানিতে ভেসে গিয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন, রামু উপজেলার আমজাদ হোসেন (২২) ও সাচিং মারমা (২৬)।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ডুবে সুবর্ণা আক্তার নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত সুর্বণা আক্তার বীরচন্দ্রপুর গ্রামের মো: পারভেজ মিয়ার স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় জানায়, গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজারের ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৬৩টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৪৮ জন।