পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে ভাঙারি দোকানের মালিকানা ও লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই সোহাগ হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। চাঁদাবাজির কোনো প্রমাণ মেলেনি।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন এই তথ্য জানান তিনি।
তিনি জানান, “মিটফোর্ড এলাকায় একটি ভাঙারি দোকানের ব্যবসায় কারা অংশ নেবে, তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সেই দ্বন্দ্ব থেকেই সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় র্যাবের হাতে দুজন এবং পুলিশের হাতে তিনজনসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।
পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে চায়নি, এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে ডিসি জসিম উদ্দিন বলেন, “ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শুরু থেকেই আমরা ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা রাজনৈতিক বিবেচনায় তদন্ত করছি না। আমাদের কাছে অপরাধই মুখ্য। কারও রাজনৈতিক পরিচয় আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়।”
সোহাগের অতীত কর্মকাণ্ডও খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে ডিসি বলেন, “তদন্তে যদি তার আগের কোনো ঘটনার যোগসূত্র পাওয়া যায়, সেটিও আমলে নেওয়া হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তদন্তে এখন পর্যন্ত চাঁদাবাজির কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যতটুকু তথ্য মিলেছে, তাতে পারস্পরিক ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও আর্থিক লেনদেনই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে প্রকাশ্যে সোহাগকে কুপিয়ে ও মাথায় বড় পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় একটি হত্যার একটি ভিডিওতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়।