ধানমন্ডিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মব’ সামাল দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন ওসি ক্যশৈন্যু মারমা। পেশাদারিত্ব দেখিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করায় তাকে পুরস্কৃত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (২১ মে) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী নিজ কার্যালয়ে ডেকে তাকে এই পুরস্কার প্রদান করেন।
ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘পেশাদারিত্ব ও ধৈর্য সহকারে উত্তেজিত জনতা নিয়ন্ত্রণের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ক্যশৈন্যু মারমাকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করেছেন কমিশনার।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এমন পরিস্থিতিতে ওসির ভূমিকা পুলিশ সদস্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
সোমবার গভীর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে হাক্কানী পাবলিশার্সের মালিক গোলাম মোস্তফার বাসার সামনে গিয়ে অবস্থান নেয় একদল যুবক। তারা নিজেদের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা’ দাবি করে স্লোগান দিতে থাকে এবং বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করে।
তাদের অভিযোগ ছিল, ওই বাসায় ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আশ্রয় নিয়েছে। পুলিশ পৌঁছালে তারা দাবিতে আরও চড়াও হয় এবং ‘দোসর’ গ্রেপ্তারের জন্য চাপ তৈরি করতে থাকে।
পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ওসির তর্ক-বিতর্ক হয় এবং শেষে তিনজনকে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তাদের মধ্যে ছিলেন, সাইফুল ইসলাম রাব্বী (২৬), পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও সংগঠনটির মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক, ফারহান সরকার দীনা (২৬), একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ও সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং মোহাম্মদউল্লাহ জিসান (২৪), মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের শিক্ষার্থী ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে সহায়ক হিসেবে কর্মরত।
তাদের মধ্যে ছিলেন, সাইফুল ইসলাম রাব্বী (২৬), পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক ফারহান সরকার দীনা (২৬), বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ছাত্র ও ঢাকার যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদউল্লাহ জিসান (২৪), মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের শিক্ষার্থী ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে সহায়ক কর্মী।
পরদিন মঙ্গলবার ওই তিনজনকে ছাড়িয়ে আনতে ধানমন্ডি থানায় যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। মুচলেকা দিয়ে তাদের মুক্ত করেন তিনি।
ঘটনাটি টিভি ক্যামেরায় ধারণ হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে হান্নান মাসউদকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
বুধবার এনসিপির পক্ষ থেকে হান্নান মাসউদকে কারণ দর্শাতে বলা হয়। নোটিসে বলা হয়, আন্দোলন থেকে অব্যাহতি পাওয়া একজন নেতাকে ছাড়িয়ে আনার ঘটনায় কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা তিন দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে হবে।