বরগুনার আমতলী উপজেলায় ইসমাইল শাহ মাজারে বার্ষিক ওরস চলাকালে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মাজারের ভেতরের শামিয়ানা ও দুটি বৈঠকখানা পুড়ে গেছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ২৮তম ওরস চলাকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে শতাধিক ব্যক্তি মাজারপূজা ও গানবাজনা বন্ধের দাবি জানান। তবে মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান এতে রাজি না হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা মাজার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জানান, হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১১ জনকে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মাজারে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে দানবাক্সের টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট হয়।
আমতলী ফায়ার স্টেশনের ওয়ারহাউস ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ জানান, প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ২টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত গাজী বায়েজিদ দাবি করেন, “রমজান মাসে মাজারপূজা ও গানবাজনা বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু খাদেম তা না মানায় তাঁর ভক্তরা ওমর ফারুক জেহাদীর ওপর হামলা চালান, এতে জনতা উত্তেজিত হয়ে মাজার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।”
ঘটনার পরপরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান ও আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওসি আরিফুল ইসলাম জানান, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।