চাঁদপুরের হাইমচরে জাহাজে ৭ জন খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহেভাজন আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান (২৬) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মাস্টারের সঙ্গে ক্ষোভের কারণেই ৭ জনকে খুন করেছে অভিযুক্ত আকাশ মণ্ডল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১১ কুমিল্লার উপ অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন।
এর আগে, বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে ইরফানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইরফান বাগেরহাটের ফকিরহাট এলাকার জগদীশ মণ্ডলের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি হ্যান্ড গ্লাভস, ১টি ব্যাগ, ঘুমের ওষুধের খালি পাতা, খুন হওয়া ব্যক্তিদের ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোনসহ মোট সাতটি মোবাইল ফোন ও রক্ত মাখানো ১টি জিন্স প্যান্ট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১ কুমিল্লার উপ-অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন জানান, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া গত ৮ মাস ধরে কোনও প্রকার বেতন-ভাতা দিতেন না এমনকি তিনি দুর্ব্যবহারও করতেন। এসবের ক্ষোভের কারণেই আকাশ মণ্ডল জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াসহ সবাইকে হত্যা করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আকাশ মণ্ডল ইরফান জানান, জাহাজের সকলের জন্য বাজার করা ইরফান পাবনার একটি বাজারে নেমেছিল। সেখান থেকে তিনি ৩ পাতা ঘুমের ওষুধ ক্রয় করেন। আর যে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সেটি আগেই জাহাজেই ছিল। ওই চাইনিজ কুড়ালটি জাহাজের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল।
র্যাবের দাবি, আকাশ মণ্ডল ইরফান প্রথমে খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জাহাজের সবাই সবাইকে অচেতন করে। পরে হাতে গ্লাভস পরে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে একে একে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করে ইরফান। পরে সবার মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজেই জাহাজ চালিয়ে চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় এসে অন্য একটি ট্রলারে করে পালিয়ে যান আকাশ।