বগুড়ায় দলীয় কোন্দল এবং আধিপত্য বিস্তাররের জের ধরে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো: মিজানুর রহমান মিজানকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় ঘাতক আহত লেদু নামের এক যুবককে সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেন নিহত মিজানের অনুসারী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা।
এ সময় হামলার চিত্র ধারণ করতে গেলে যমুনা টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান মো: মেহেরুল সুজনসহ ৪ সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করা হয়।
এর আগে, রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার গোকুল স্ট্যান্ডের আন্তঃজেলা ট্রাক মালিক সমিতির কার্যালয়ে মো: মিজানুর রহমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপানো হয়। পরে মিজানুরকে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিজানুর রহমান বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল এলাকার মো: আফছার আলীর ছেলে এবং সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ছিলেন। আর সালমান হোসেন গোকুল দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন।
জানা গেছে, গোকুল ইউনিয়ন যুবদলের সদ্য বহিষ্কৃত নেতা বিপুল, লেদুর সাথে মিজানুরের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিলো। গত ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোকুল হল বন্দরে মো: সনি রহমান খুন হয়। সনি স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুরের খুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। সনি হত্যার ১ নং আসামি বিপুল, আর লেদু ৩ নং আসামি। সেই বিরোধের জের ধরেই সোমবার রাতে বিপুল তার দলবল নিয়ে মিজানুরের ওপর হামলা চালায়।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রাত ৮টার দিকে গোকুল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে ৬ থেকে ৭ জনের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন। এসময় বিদ্যুৎ ছিলো না। তখন ৫টি মোটরসাইকেলে বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে তাদের ওপর আচমকা হামলা চালায়। হামলাকারীরা মিজানুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর যখম চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নিলে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মো: আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, নিহত দুজনের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছেন। এ হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।