বগুড়ায় বাস ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছন আরো ৭ জন। তাদের উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (০৮ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়ী এলাকার এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, কাভার্ডভ্যান চালক বরিশালের হিজলা উপজেলার মো: হৃদয় (২২), তার আত্মীয় নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার নতুনপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী জেসমিন বেগম (৩৫), বগুড়া সদরের সুত্রাপুর এলাকার মো: শামীম হাসান (৪৫) ও বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রিধইল গ্রামের মো: আফজাল হোসেনের ছেলে মো: আব্দুল হান্নান।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন, নওগাঁ সদরের মো: বাবুল মিয়া (৩৫), মো: শাওন হোসেন (৩০), বরিশালের হিজলা উপজেলা মো: আলিফ (৩৫), বগুড়া সদরের মো: রেজাউল করিম (৪৫), কাহালু উপজেলার সুজন মিয়া (৩৫), রংপুরের ডিমলা উপজেলার মো: অমিত (১০) ও শেরপুর উপজেলার মোহাম্মদ সৈকত (১৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নওগাঁর দিকে যাচ্ছিলো। আর মো: হৃদয়ের কাভার্ডভ্যানে জেসমিন নামে ওই নারী পরিবারসহ নীলফামারী থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে রাত সাড়ে ৩টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়ী এলাকায় বাসটির লেনে বিপরীত দিক থেকে একটি কাভার্ডভ্যান এলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে বাস ও কাভার্ডভ্যানের সামনের অংশ সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই কাভার্ডভ্যানের চালক, তার বোনসহ ৩ জন মারা যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পরে আরো একজনের মৃত্যু হয়।
বগুড়ায় বাস ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষের বিষয়ে ছিলিমপুর মেডিক্যাল ফাঁড়ির টিএএসআই মো: লালন হোসেন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আহতরা শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিহতদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্বাস আলী জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও কাভার্ডভ্যানটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।