বগুড়ার শেরপুরে সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের কাজে নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) সকাল থেকেই উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এ চিত্র দেখা গেছে। স্বপ্রণোদিত হয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শেরপুর উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ধুনট মোড়, হাসপাতাল রোড, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড (ফলপট্টি), পুরাতন বাসস্ট্যান্ড (টাউন কলোনী), উপজেলা পরিষদ রোড ও কলেজ রোড এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী তীব্র রোদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
বগুড়ার শেরপুরে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের কাজে দায়িত্বে থাকা রাডার সাইন্স একাডেমি এন্ড স্কুলের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শামিম রেজা জানান, উত্তরবঙ্গগামী সব যানবাহন শেরপুর উপজেলার উপর দিয়েই যাতায়াত করে।
আমরা চেষ্টা করছি এখানে যেন কোনো ক্রমেই যানযটের সৃষ্টি না হয়। এছাড়াও, উল্টো পথে যারা যানবাহন চালিয়ে আসছেন আমরা তাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি। পাশাপাশি মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করছি।
রাস্তায় চলাফেরা করা পথচারীরা জানান, চলমান পরিস্থিতির কারণে শেরপুর শহরের কোনো স্থানেই পুলিশ বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের দেখা যায়নি। এ উপজেলার শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায়, এখন পর্যন্ত কোনো যানজট দেখা যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগে আমরা অনেক আনন্দিত।
শেরপুর আলীয়া কামিল মাদ্রাসার ইংরেজী প্রভাষক মো: আজাদুল ইসলাম আজাদ জানান, ৪৮, ৫২, ৬৯ ও ৭১ সালেও তরুণ ও শিক্ষার্থীরা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলো। শেরপুর উপজেলার তরুণেরাও যেভাবে রাস্তায় নেমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন, এ যেন এক অন্যরকম বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশের প্রত্যাশা আমরা সর্বক্ষণ করি। তাদের মুখের দিকে তাকালে আমি আগামীর বাংলাদেশ দেখছি। এক সমৃদ্ধির বাংলাদেশ দেখছি।