বগুড়ার শেরপুরে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় তদবিরে জড়িয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের শীর্ষ এক নেতা। এমন অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে রোববার (১১ মে) রাতে, শেরপুর থানায়। গ্রেফতার হওয়া সীমাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবু সাদাত মোহাম্মদ ছাইয়ুম (৪৮) ও কুসুম্বি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম (৭৫)। এদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও সহিংসতার অভিযোগে মামলা ছিল।
রাত সাড়ে নয়টার দিকে থানায় হাজির হন ছাত্র অধিকার পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানূর রহমান পলাশ। তিনি উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উপর ‘চাপ’ প্রয়োগ করে দাবি করেন, সাইফুল ইসলাম নিরপরাধ এবং তাকে ছেড়ে দেওয়া হোক।
পুলিশ জানায়, পলাশের দাবি নাকচ করে সাইফুলের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার প্রমাণ দেখানো হয়। এরপরও কয়েক ঘণ্টা তিনি থানা প্রাঙ্গণে অবস্থান করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে এলে রাত ১১টার দিকে তিনি চলে যান।
তবে মিজানূর রহমান পলাশ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “সাইফুল ইসলাম আমাদের এক ছাত্রনেতার আত্মীয়। আমাকে বলা হয়েছিল তিনি নির্দোষ। বিষয়টি যাচাই করতে থানায় গিয়েছিলাম। পরে পুলিশের কাছ থেকে নিশ্চিত হই, তিনি প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের অংশ।”
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রনেতা পলাশ আসামী ছাড়াতে বারবার অনুরোধ করেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। যথাযথ প্রক্রিয়ায় আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে।”