বগুড়ার শেরপুরে জোরপূর্বক অপসারণচেষ্টার অভিযোগ করেছেন একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তার দাবি দেশের পরিবর্তিত অবস্থার সুযোগ নিয়ে ওই স্কুলের কিছু শিক্ষক তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং আন্দোলন করার জন্য শিক্ষার্থীদের উষ্কানী দিচ্ছেন।
প্রতিকার চেয়ে তিনি বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী হাপুনিয়া মহাবাগ স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো: দানিসুর রহমান। তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বগুড়ার শেরপুরে হাপুনিয়া মহাবাগ স্কুল এন্ড কলেজের কয়েকজন শিক্ষক এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দানিসুর রহমানকে পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। কিন্তু স্কুলের শিক্ষার্থীদের ও অধিকাংশ শিক্ষকদের প্রতিবাদের মুখে তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর স্কুলের সহকারি শিক্ষক শকিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষক প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহকারী আমজাদ হোসেনের কাছ থেকে হিসাবের খাতা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ছিনিয়ে নেয়।
তারা নিজেরা একটি হিসাব নিরীক্ষা কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬৪২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনে। সেই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে দানিসুর রহমান অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী আমজাদ হোসেন জানান, গত ২০ আগস্ট শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষক আমার কাছে স্কুলের হিসাবের খাতা ও ভাউচারের ফাইল দাবি করেন। আমি প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া দিতে অস্বীকার করি। তারা আমাকে ধমক দিয়ে জোর করে সেগুলো নিয়ে গেছে।
তবে এসব কথা অস্বীকার করেছেন সহকারী শিক্ষক মো: শকিকুল ইসলাম। তিন জানান,“আমারদের হিসাব নিরীক্ষা কমিটি আগে থেকেই গঠন করা ছিলো। নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিরীক্ষা করে কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। আমরা প্রতিকার চেয়ে প্রতিবেদনসহ স্কুলের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়েছে। আমরা জোর করে প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগ করানোর চেষ্টা করিনি।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুমন জিহাদী বলেন, স্কুলের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে দুই পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ইতিমধ্যেই ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।